গলাচিপায় পূর্ণিমার প্রভাবে পৌর এলাকাসহ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার বিঘিত হচ্ছে। এদিকে গলাচিপা-পটুয়াখালী সড়কের হরিদেবপুর ফেরিঘাট ডুবে যাওয়ায় চার ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়ক পথে গলাচিপার সাথে সারা দেশের চার ঘণ্টা যোগাযোগ বন্ধ ছিল বলে জানাগেছে।
গলাচিপার হরিদেবপুর ফেরিঘাটের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন জানান, পূর্ণিমার প্রভাবে গত দুদিন থেকে গলাচিপায় থেমে থেমে বৃষ্টি ও ঝড়ো বৃষ্টি হচ্ছে। একই সাথে নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট পানি বেশি ওঠায় হরিদেবপুর ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে ডুবে যায়। এতে বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে তিনটা পর্যন্ত কোন ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ফলে গলাচিপার সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এদিকে গলাচিপা সদও ইউনিয়নের কৃষক মোশররফ হোসেন বলেন, পৌরসভাসহ পানপট্টি, পক্ষিয়া, পাতাবুনিয়া, চরকারফারমা, চরবাংলা, চরকাজল, বদনাতলী, পানপট্টি, বোয়ালিয়া, গোলখালী, নলুয়াবাগীসহ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে আমন ধানের বীজ তলার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয় গলাচিপা পৌর মেয়র আহসানুল হক তুহিন বলেন, ‘গলাচিপা পৌর এলাকার ব্যবসায়ীদের বড় একটি অংশ রয়েছে ওয়াবদা বেড়ি বাাঁধের বাইরে। তাই এ বিষয় পৌর সভার ৬টি ওয়ার্ডের ওয়াবদা বেড়ি বাঁধের বাইরের অংশে মিনি পোল্ডার করার জন্য বর্তমান এমপি মহোদয়ের ডিও লেটারসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছি যাতে তারা এ এলাকায় একটি মিনি পোল্ডার করে।
কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেয়নি। এ অবস্থা চলতে থাকায় পৌর এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে।’